১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজকের নির্বাচন চার ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা এ ভোটগ্রহণ।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (৮ মে) কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
নির্বাচনি এলাকায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল দিচ্ছে। প্রার্থীরা তাদের পোস্টার সাঁটানোসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়েছেন। পার্বত্য, দুর্গম ও চরাঞ্চল বিবেচনায় ২১ জেলার ৩৮টি উপজেলায় গতকাল ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। যে ২২টি উপজেলায় ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে, সেগুলোও কেন্দ্রে পৌঁছেছে। বাকি ৭৯টি উপজেলায় আজ ভোরে ব্যালট পেপার পৌঁছবে। এ নির্বাচনে ৫৭০ জন চেয়ারম্যান, ৬২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪৪০ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবমিলিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৩৫ জন।
বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের অংশ না নেওয়ায় অনেকটা একপক্ষীয় প্রার্থীদের মধ্যে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অপরদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো ভোটারদের কেন্দ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছে।
বড় দুই দলের বিপরীতমুখী এমন অবস্থানের মধ্যে ভোটারদের নিরাপত্তায় এসব উপজেলায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও কোস্ট গার্ডের প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার সদস্য মাঠে রয়েছেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন মোতায়েন থাকবেন। আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা ঠেকাতে বেশির ভাগ উপজেলায় আজ (বুধবার) সকালে ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। ভোটগ্রহণ ঘিরে নির্বাচন কমিশন এমন কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তবুও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের পাশাপাশি সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭০টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।