রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। বর্তমানে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এ সাজেকভ্যালি। সম্প্রতি দুই আঞ্চলিক দলের ক্যাডারদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ১-৩ ডিসেম্বর সাজেকের আশেপাশে দুর্গম এলাকায় দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওই সময় উভয়ের মধ্যে অন্তত হাজার রাউন্ড গুলিবিনিময় ঘটে বলে জানায় প্রশাসন।
ঐ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ৪ ডিসেম্বর একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জেলা প্রশাসন। এতে আগে ঘুরতে যাওয়া চার শতাধিক পর্যটক সেখানে আটকা পড়লে এদিনই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় তাদেরকে গন্তব্যে ফেরত পাঠানো হয়।
পাশাপাশি নিরাপত্তাবাহিনী অভিযান পরিচালনা শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফলে ৫ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ শুরু করেছেন। বর্তমানে সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় প্রতিদিন সাজেকে হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটছে বলে জানাাায় এলাকাবাসী। সকাল-বিকাল সাজেক আসা-যাওয়া করছে পর্যটকবাহী বহু গাড়ি।
রাঙামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও বাঘাইছড়ি সার্কেল অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, সাজেকের সড়কে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাজেকের মাচালং ও তার আশপাশে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব এলাকায় পুলিশের তল্লাশি ও বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে সাজেকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত। তাই এখন পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে সমস্যা নেই।
সাজেকের কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, বর্তমানে সাজেকের পরিস্থিতি শান্ত। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা নেই। পর্যটকরা নিরাপদে সাজেকে যাওয়া-আসা করতে পারছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।