বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে। তবে বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ হচ্ছে। রোজায় যাতে দুর্ভোগের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করছি। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় সংসদে মাহফুজুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস, স্বাভাবিকভাবেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই পবিত্র মাসে রোজা পালন করবেন। আমাদের বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে। সেটি বিভিন্ন কারণে, বৈশ্বিক কারণে। চিনি আমরা আমদানি করি। আমাদের ১৭টি চিনির কল আছে, সেখানে যে কাঁচামাল আখ, সেটি উৎপাদন করতে বছর লাগে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা নিজেদের স্বার্থ অবশ্যই দেখবেন।দীর্ঘকালীন ফসলটি উৎপাদন করতে চাচ্ছেন না অনেকে। চিনিকলগুলোতে অনেক জায়গা আছে। আমরা যদি বহুমুখী পদক্ষেপ না নিই, তাহলে চিনিকলগুলো বোঝা হয়ে যাবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আধুনিকীকরণ অন্যান্য ফসল যেমন ফ্রুটস প্রসেসিংসহ আমরা অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি।
ইতোমধ্যে আমাদের কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ দেশীয় যারা উদ্যোক্তা তারাও সেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেসরকারিভাবে যারা তৈরি করেন, তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে করেন। তাদের সঙ্গে আমরা বাজারে টিকি না। কারণ আমাদের দাম বেশি পড়ে যায়। সে জন্য এখন নতুন পন্থায় মিলগুলোকে আরও বাস্তবসম্মত করতে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এখন আর চিনির অভাব হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সামরিক বাহিনী, পুলিশসহ বিশেষ করে সরকারি যে বাহিনীগুলো আছে, সেখানে সুগার করপোরেশন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি সরবরাহ করে থাকি। বাইরের বাজারের জন্য আমাদের কিছুটা শর্ট (কম) পড়ে। সেখানে প্রাইভেট যারা আছে টিসিবিসহ তারা আমদানি করে থাকে। তবে বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমার শিল্প মন্ত্রণালয় দামে যদিও সাবসিডিয়ারি দিতে হয়, তবু ৪৫ টাকাই রেখেছি। সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে ৬৫ টাকা, সেটাতে আমরা দিচ্ছি না। আমরা নির্ধারিত মূল্যই দিচ্ছি। বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।