করোনা মহামারীতে বিশ্ব আজ স্তব্ধ। বাদ যায়নি কৃষ্টিকালচারের এগিয়ে থাকা ফ্রান্সও। পৃথিবীর অনেক দেশের মতন ফ্রান্স সরকারও লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেই নির্দেশ মেনে চলছেন ফ্রান্সের নাগরিকরা। আর এ কারণে কোলাহল যুক্ত ফ্রান্স এখন কোলাহলমুক্ত। অনেক এলাকা পুরোপুরি মানব শুণ্যও। সেই চিত্র তুলে ধরেছেন গ্লোবাল প্রাইম২৪.কমের বিশেষ প্রতিনিধি (ইইউ) আশিক আহমেদ উল্লাস।
প্যরিসে লকডাউনেও সব ধরনের যানবাহন চালু রাখা হয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।
Arc de Triomphe de l’Étoile (ফরাসী ভাষায় ) এমনি সময়ে এই জায়গাটাকে এরকম অবস্থায় কখনো দেখাই হয়নি মানুষের ভিড়ের কারণে। লকডাউনের কারণে শুধুই নিস্তব্ধতা ও জনশুন্য।
লুভের মিউুজয়ামের এমন চিত্র লকডাউন না হলে কখনো কল্পনা করাই সম্ভব হতো না।
স্টেশনের প্লাটফর্মে মানুষের ভিড়ে পা ফেলা দায় সাধারণ সময়ে। লকডাউনের প্রভাবে যেখানে শুধুই নিরবতা।
স্যাক্রে-কৌর বেসিলিকা নামে পরিচিত Basilique du Sacré-Cœur এটি একটি রোমান ক্যাথলিক গির্জা। যেটি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত। প্যারিসের দর্শনীয় স্থানগুলির দ্বিতীয় সর্বাধিক দেখা স্মৃতিস্তম্ভ। লকডাউনের প্রভাবে পর্যটকশুন্য।
প্যারিসের মোলানরুজ সংগীত নৃত্য বিনোদন কেন্দ্র যা ইউরোপসহ সারাবিশ্বে পরিচিত। পর্যটকদের কাছে এটি বিশেষ আকর্ষনীয়ও। লকডাউনে ক্লাবটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।
sacre-Coeur এর থেকে নিচে নামার পথ যেখানে মানুষের কোলাহল থাকতো লকডাউনের কারণে চারিদিক ফাকা।
ট্রেনস্টেশনের টিকেট কাউন্টার ও একজিট পয়েন্টে ছিল লকডাউনের প্রভাব।
যে পার্কে সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে। লকডাউনে সেখানেও লোকজনের আনাগোনা একেবারে নেই বললেই চলে।
ট্রেনস্টেশন বা বাস স্টপেজের চেয়ারগুলো এভাবে মার্ক করে দেওয়া হয়েছে, যেন মানুষ পাশাপাশি বসতে না পারে।
রেস্তরাগুলি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ব্যাক্তিগত গাড়ি চলছে তবে সংখ্যায় কম।
নিস্তব্ধ শহর যখন গভীর ঘুমে।
লকডাউরনর মধ্যেও প্রকৃতি অকৃত্রিমভাবে তার সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে।