নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ হওয়া প্রত্যেক পরিবারের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের চতুর্থ তলায় হল অব ইন্টিগ্রেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহারুল আলম শহিদদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী সরকারের স্বার্থরক্ষায় পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তা বাড়াবাড়ি ও আইনভঙ্গ করেছেন। অনেক নিরপরাধ পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রত্যেক শহিদ পরিবারের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ পুলিশ এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। পুলিশের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে হয়েছে। তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সহযোগিতায় এবং সরকারের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন তিনি। দেশের জনগণের সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দুরূহ। এ বিষয়ে তিনি সবিনয়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, আইনি সেবা প্রত্যাশী জনগণের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ কাজ করবে, তল্লাশি চালাবে।
অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে এই বাহিনী প্রকৃত অর্থেই জনবান্ধব হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি।’
আইজিপি পদে বাহারুল আলমের নিয়োগের বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন ২১ নভেম্বর সকালে তিনি আইজিপির দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আজই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।