পুরনো ফোন পড়ে আছে। অনেকে কিছু টাকা সংগ্রহের আশায় তা বিক্রি করে দেন। পুরনো ফোন বিক্রি করার সময় কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে।
ব্যাংকিং অ্যাপ ডাটা মুছে ফেলুন
ব্যাংক ও আর্থিক সেবার অ্যাপে অর্থসংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। সাধারণত এসব অ্যাপে ওটিপি ছাড়া আর্থিক লেনদেন করা যায় না। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ চালু থাকলে তা আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সব ডাটা রেকর্ড
স্মার্টফোনে সংরক্ষিত সব কল রেকর্ডস ও বার্তা মুছে ফেলতে হবে। কল রেকর্ডস এবং বার্তা গুরুত্বপূর্ণ হলে সেগুলো আলাদা কোনো স্থানে বা ক্লাউড সেবায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে। আজকাল অনেক অ্যাপ দিয়েই অনেক তথ্য উদ্ধার করা যায়। তাই ডাটা মুছে নিন।
গ্যালারি খালি করুন
স্মার্টফোনের স্টোরেজে ছবি, ভিডিওসহ অসংখ্য মাল্টিমিডিয়া আধেয় বা কনটেন্ট থাকে। প্রয়োজন থাকায় ডিলেট করাও যায় না। তাই ব্যাকআপ নেওয়ার সময় আগে দেখুন কোনগুলো রাখবেনই। যেগুলো লাগবে না ডিলেট করে দিন।
এক্সটারনাল ড্রাইভে ব্যাকআপ
ক্লাউড স্টোরেজে সহজে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং সেগুলোতে প্রবেশ করা যায়। তবে স্মার্টফোনে থাকা তথ্যের বাড়তি সুরক্ষার জন্য এক্সটারনাল ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখা যেতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপ
হোয়াটসঅ্যাপেও প্রচুর তথ্যও থাকে। তাই গুগল ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ রাখতে হবে। পরে নতুন ফোনে এই ব্যাকআপ ব্যবহার করে পুরনো তথ্য ফেরত আনা যাবে।
এনক্রিপশন মুছে ফেলা
ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার আগে অবশ্যই ফোনে থাকা এনক্রিপশন মুছে ফেলতে হবে। কারণ এনক্রিপশন চালু থাকলে ফ্যাক্টরি রিসেটের পরেও ফোনে প্রবেশ করা যায়।
ফ্যাক্টরি রিসেট
ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যাওয়ায় বিভিন্ন ত্রুটিযুক্ত সফটওয়্যার, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর তাই পুরনো ফোন বিক্রির সময় সব তথ্য স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতেও ফ্যাক্টরি রিসেট করা প্রয়োজন।