প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় ছেলে হাতে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন এক বৃদ্ধ ও তার নববিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রী। ভরণপোষণ না দিয়ে ওই দম্পতিকে উলটো বেশ কয়েকবার মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। প্রতিকার পেতে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সুফল মিলেনি। থানায় লিখিত অভিযোগ করেও পায়নি কোন প্রতিকার। ফলে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বৃদ্ধ এ দম্পতি। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামের ৯ সন্তানের জনক মো. রফিকুল ইসলামের (৯৩) প্রথম স্ত্রী মারা যায় ৫০ বছর পূর্বে। পরবর্তীতে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরের ৬ সন্তানের মধ্যে অন্যরা তাদের সৎ মাকে মেনে নিলেও মেনে নেয়নি হানিফ মিজি নামে এক ছেলে। সে দীর্ঘদিন থেকে তার বৃদ্ধ বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গে নানাভাবে খাবার ব্যবহার করছেন। এই অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিদা বেগম (৬৫)।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বলেন, আমার সতীনের অন্য ছেলে মেয়েরা ভালো আচরণ করলেও ব্যতিক্রম হানিফ মিজি ও তার পরিবার। সে নানাভাবে আমাকে ও আমার স্বামীকে হয়রানি করে আসছে। ভরণপোষণ তো দেয় না, উলটো আরও মারধর করে। আমার নিজের সন্তানদের বসতঘরও করতে দেয় না। তাই নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
ভুক্তভোগী বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, হানিফ কেন আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করছে জানি না। আমাকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে।
ভরণপোষণ না দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত হানিফ মিজি বলেন, আমার বাবার কোনো সম্পত্তি নেই। আমার ভাই যেখানে ঘর করতে চায়, সেখানে আমার নিজের সম্পত্তি রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, এক পক্ষ মানলে আরেক পক্ষ মানছে না। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা তাই সমাধান হচ্ছে না।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।