পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি) এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডিত লাশ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে। আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তি কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায়, ভাঙ্গড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় সেই লাশের টুকরো ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত থেকে গত দুই দিন ধরে চলছে তল্লাশি অভিযান। এরই মধ্যে শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা বাগজোলা খালের পানিতে নামানো হয় কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। কিন্তু তারপরও খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই লাশের টুকরো। এবার সেই লাশের সন্ধান পেতে ওই খালে জাল ফেলা হয়। সঙ্গে নামানো হয় নৌকাও। এদিন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সফলতা পায়নি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গ্রেফতার করা হয় খুলনার বাসিন্দা জিহাদকে। কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরায় বিভক্ত করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।